বদলে যাচ্ছে র্যাবের নাম! বড় সিদ্ধান্ত আসতে পারে আজ
বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে (র্যাব) বিলুপ্তির যে সুপারিশ এসেছে, সে বিষয়ে আজ মঙ্গলবার বড় ধরনের সিদ্ধান্ত আসতে পারে। বিকেলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইন-শৃঙ্খলাসংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভায় বিষয়টি উঠতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র কালের কণ্ঠকে জানিয়েছে।
জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে সহিংসতার ঘটনায় জাতিসংঘ থেকে যে প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে, সেখানে র্যাবকে বিলুপ্তির সুপারিশ করা হয়েছে। গুমসংক্রান্ত কমিশনও একই ধরনের সুপারিশ করেছে।
একই ধরনের দাবি জানিয়েছে বিএনপিও।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, আজ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জে. (অব) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে আইন-শৃঙ্খলাসংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় র্যাব বিলুপ্তির সুপারিশের বিষয় নিয়েও আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা গত রাতে কালের কণ্ঠকে জানিয়েছেন, র্যাব বিলুপ্ত না করে অন্য নামে সংস্থাটিকে চালানো যায় কি না এমন চিন্তাভাবনাও করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আইজিপি বাহারুল আলম গতকাল রাতে কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমার কিছু জানা নেই।’
গত ১২ ফেব্রুয়ারি জাতিসংঘের প্রতিবেদন প্রকাশের পর সাংবাদিকরা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে জানতে চেয়েছিলেন, জাতিসংঘের রিপোর্টের সুপারিশের ভিত্তিতে র্যাবকে বিলুপ্ত করা হবে কি না? জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘সবাই বসে একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
গত ১৪ ডিসেম্বর প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে গুমসংক্রান্ত কমিশন তাদের প্রথম প্রতিবেদন জমা দেয়। ওই প্রতিবেদনেও ‘গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনমূলক কাজে জড়িত থাকার’ অভিযোগে র্যাবকে বিলুপ্তির সুপারিশ করা হয়।
২০০৪ সালে বিএনপি সরকারের আমলে গঠিত এই বাহিনী বিলুপ্তির জন্য বিএনপির নেতারাও বিভিন্ন সময় দাবি জানিয়ে আসছেন। গত ১০ ডিসেম্বর দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘র্যাব অসংখ্য হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। তাই আমরা অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত পুলিশ সংস্কার কমিশনের কাছে র্যাব বিলুপ্ত করার সুপারিশ করেছি।
Post a Comment