রাজধানীতে রুমে আটকে নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ, পুলিশের রহস্যজনক আচরণ
রাজধানীর শেওড়াপাড়ায় এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগীর বান্ধবীর অভিযোগ, ১০ থেকে ১২ জনের একটি দল রুমে নিয়ে তাঁর বান্ধবীকে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় বান্ধবীকে সঙ্গে নিয়ে কাফরুল থানায় মামলা করেন ওই নারী।
এ ঘটনার পর সোমবার রাতে সেই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে জব্দ করা হয় বিদেশি মদ ও ফেনসিডিল। আটক করা হয় এক কর্মীকেও। বাসিন্দাদের দাবি, ভবনটিতে অবাধে চলত অসামাজিক কার্যকলাপ। তবে এসব বিষয় নিয়ে কোনো কথা বলেনি পুলিশ।
ভুক্তভোগীর বান্ধবী বলেন, ‘আমার বান্ধবী অনেকবার রুম থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করেও পারেনি। বারবার বলা হচ্ছিল এ রুম থেকে বের হলে আমার বান্ধবীকে ওরা মেরে ফেলবে। পরে অনেক চেষ্টার পর সেখান থেকে আমার বান্ধবী বের হয়েছে।’
এ ঘটনায় পর শেওড়াপাড়ার সেই বাড়িতে সোমবার রাতে অভিযান চালায় পুলিশ। তালা ভেঙে আটক করা হয় এক কর্মীকে। ভবন মালিকের কক্ষ থেকে জব্দ করা হয় বিদেশি মদ ও ফেন্সিডিলের বোতল।
ভবনের কেয়ারটেকার জানান, এ ভবনের পঞ্চম তলায় চার থেকে পাঁচজন নারী থাকতেন। তারা সেখানে অসামাজিক কর্মকাণ্ড চালাতেন।
পুলিশ জানায়, ভবনের পঞ্চম তলায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। দরজা বন্ধ থাকায় ভেতরে ঢুকতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ সদস্যরা।
ভবনটির চারতলার জিমের মালিক মো. শাহজাহানের দাবি, ভবনটির পঞ্চম তলায় একটি আবাসিক হোটেল ছিল। সেটি বন্ধ হওয়ার সেখানে অবাধে চলতো অবৈধ ও অসামাজিক কার্যকলাপ। সোমবার রাতে সেখানে পুলিশ এসেছিল। তবে সেখানে অনেক কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার কারণে ভেতরে ঢুকতে পারেনি তাঁরা
এসব বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ ঢাকা মহানগর পুলিশের মিরপুর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মাহমুদুল হোসাইন।
এদিকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ নিয়েও কিছু বলতে চাননি পুলিশের এই কর্মকর্তা।
Post a Comment