বিনিয়োগের ১২-১৫-২০ সূত্র জানেন? হেলায় কোটিপতি করে দিতে পারে আপনাকে
অল্প সময়ে বড়লোক হতে কে না চায়! বেশি বেশি অর্থ উপার্জনের ভাবনা আমাদের মনে এসে ভবিষ্যত জীবনের চিন্তা থেকে। প্রতিনিয়ত বেড়ে চলেছে মুদ্রাস্ফীতি। একটা সময় যেখানে ১ টাকায় গোটা দিনের বাজার হয়ে যেত, সেখানে আজ ওই টাকা আজ এমনি কাউকে দিলেও নিতে চান না তাঁরা। বিয়ে, সন্তান, অবসর জীবন সব নিয়ে রয়েছে মানুষের মধ্যে অশেষ চিন্তা।
আগের প্রজন্মের তুলনায় বর্তমান প্রজন্মের মধ্যে বিনিয়োগের বিষয়ে সাহস বেড়েছে। আগে যেখানে কেবল ব্যাঙ্কে টাকা রাখতে স্বাছন্দ্য বোধ করত মধ্যবিত্ত, সেখানে এখন শেয়ার মার্কেট থেকে মিউচুয়াল ফান্ড,সর্বত্রই বাড়ছে বিনিয়োগের হার। তবে অনেকেই ভাবেন বিনিয়গ করে লাভ পেতে হলে লম্বা সময়ের জন্যহ টাকা আটকে থাকে। বিষয়টা কিন্তু মোটে এমন নয়। অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আপনি কেমন রিটার্ন চাইছেন, কতটা রিস্ক নিতে প্রস্তুত তার উপরে নির্ভর করে কত দিনের জন্য আপনার বিনিয়োগ করা উচিত তার সময়সীমা।
এখন যা দিনকাল পড়েছে তাতে, স্বচ্ছল ভাবে বেঁচে থাকতে হলে লাখ টাকাও কম মনে হয়। সেই কারণেই উপরি আয়ের জন্য বাড়ছে নানা ক্ষেত্রে বিনিয়োগের ঝোঁক। যদিও কোটিপতি শব্দটা শুনলেই আমাদের মনে হয়, সে বিশাল বড় কোনও ব্যপার। তবে আর্থিক বিশেষজ্ঞরা কিন্তু বলছেন একদম অন্য কথা। তাঁদের মতে যদি সঠিক নিয়ম মেনে বিনিয়োগ করা যায়, তাহলে অনায়াসে কোটিপতিও হওয়া যায়। আর এক্ষেত্রে বিনিয়োগের জন্য বিশাল অঙ্কের টাকার কোনও প্রয়োজন নেই।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিনিয়োগের ১২-১৫-২০ সূত্র মানলে আপনি মালিক হতে পারেন কোটি কোটি টাকার মালিক। কী এই ১২-১৫-২০ সূত্র? জেনে নিন বিনিয়োগের সেরা সূত্র। এই সূত্র মেনে মাত্র ২৫ বছর বয়স থেকে ৪০ বছর অবধি আপনাকে করতে হবে বিনিয়োগ, তাহলেই হবে।
১২-১৫-২০ সূত্র কী? কোটিপতি হওয়া কোনও রকেট সাইন্স নয়। কেবল সঠিকভাবে বিনিয়োগ করতে পারলেই হবে। যদি ৪০ বছর বয়সে কোটিপতি হতে চান, তাহলে বিনিয়োগের ১২-১৫-২০ সূত্র মেনে দেখুন। এই সূত্রে, ১২ মানে ১২ শতাংশ রিটার্ন, ১৫ মানে ১৫ বছরের জন্য বিনিয়োগ এবং ২০ মানে প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা বিনিয়োগ। এই সূত্র অনুসারে আপনি যদি ২৫ বছর বয়সে বিনিয়োগ শুরু করেন, ৪০ বছর বয়সের মধ্যে কোটি টাকার মালিক হতে পারেন।
কোথা থেকে এবং কীভাবে বিনিয়োগ শুরু করবেন? মনে রাখবেন এমন কোনও জায়গায় বিনিয়োগ করতে হবে যেখানে রিটার্নের হার কখনও ১২ শতাংশের নীচে যাবে না। এভাবে বিনিয়োগের পরিমাণ ১৫ বছরে হবে ১ কোটি টাকা। বর্তমানে এর জন্য সবচেয়ে ভাল SIP-এর মাধ্যমে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করা। মনে রাখবেন মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের আগে, সেই তহবিলের অতীত রিটার্ন রেকর্ড দেখে নিতে পারবেন না।
আপনি যদি SIP-তে প্রতি মাসে ২০,০০০ টাকা বিনিয়োগ করেন, তাহলে ১৫ বছরে আপনার মোট বিনিয়োগ হবে ৩৬ লক্ষ টাকা। SIP ক্যালকুলেটর অনুসারে, যদি আপনি ১২% রিটার্ন পান, তাহলে আপনি মোট ৬৪ লক্ষ ৯১ হাজার টাকা সুদ পাবেন। অর্থাৎ ১৫ বছরে মোট রিটার্ন হবে ১ কোটি ৯১ হাজার টাকা।
যদি আপনার বেতন ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকার মধ্যে হয়, তাহলে আপনি সহজেই প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করতে পারবেন। আর্থিক বিশেষজ্ঞদের মতে আপনার বর্তমান আয়ের ৩০ শতাংশ সবসময় ভবিষ্যতের জন্য বিনিয়োগ করা উচিত। (সব ছবি - Getty Images)
00:01
Post a Comment