শেখ হাসিনাকে ধরে আনতে হবে, তার ক্ষমা নেই : আব্দুস সালাম
ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাকে ধরে আনতে হবে, তার কোনো ক্ষমা নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম।
তিনি বলেন, ‘বিডিআর বিদ্রোহের সময় একদিকে খাবার খাওয়ানো, আর অন্যদিকে আমাদের বীর সেনানীদের হত্যা করা হয়। এটাই ছিল সেদিনের শেখ হাসিনার উৎসব। তাই যে মহিলা এ রকম জঘন্য কাজ করতে পারে এবং যারা তাকে সহযোগিতা করতে পারে, তাদের কি কোনো ক্ষমা হতে পারে? কোনো ক্ষমা হতে পারে না।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর রমনায় অবস্থিত ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে পিলখানায় শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের স্মরণে আয়োজিত আলোচনাসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আব্দুস সালাম বলেন, ‘আমরা দেখেছি স্বাধীনতার পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে সেনাবাহিনীকে ধ্বংস করতে চেয়েছে। সেনাবাহিনীকে ধ্বংস করার জন্য সুযোগ-সুবিধা না দিয়ে, শেখ সাব প্যারালাল আরেকটা বাহিনী গঠন করেছিল। নাম তার রক্ষী বাহিনী।
তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে যে সেনাবাহিনী গড়ে উঠেছে, তারা কাদের শত্রু হতে পারে? যারা এই দেশের জন্য রাজনীতি করে তাদের শত্রু না। প্রতিবেশী, যারা চায় না স্বাধীনভাবে আমাদের দেশটা দাঁড়িয়ে থাকুক, তাদেরই শত্রু হয় এ দেশের সেনাবাহিনী। প্রথম থেকেই সেনাবাহিনীকে ধ্বংস করার চক্রান্ত করা হয়েছে। তারই ফলশ্রুতিতে গঠিত হয়েছিল রক্ষী বাহিনী, তারই ফলশ্রুতিতে বিডিআর বিদ্রোহের হত্যা।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিডিআর বিদ্রোহের সময়ের র্যাব-২-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) শামসুজ্জামান খান, বিডিআরের সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল প্রয়াত শাকিল আহমেদের ছেলে রাকিন আহমেদ ভূঁইয়া, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, সেলিমা রহমান, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইসতিয়াক আজিজ উলফাৎ, যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্নাসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
Post a Comment