দেহ ফেলতে বড়বাজার থেকে আসে ট্রলি ব্যাগ
গত রবিবার মধ্যমগ্রামের দক্ষিণ বীরেশপল্লিতে খুন হন সুমিতা ঘোষ নামে এক মহিলা। তিনি এই ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত ফাল্গুনী ঘোষের পিসিশাশুড়ি।
পুলিশ সূত্রের খবর, রবিবার সুমিতাকে খুন করার পরে তাঁর দেহ গঙ্গায় ভাসিয়ে দিতে চেয়েছিল অভিযুক্তেরা। সেই মতো সোমবার বড়বাজার থেকে একটি নীল রঙের ট্রলি ব্যাগ কিনে আনে ফাল্গুনী ও আরতি। কিন্তু ট্রলি ব্যাগে ভরে দেহ গঙ্গায় ফেলার বুদ্ধি কী ভাবে তাদের মাথায় এল, তা এখনও জানতে পারেনি পুলিশ। প্রথমে মধ্যমগ্রামের এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছিল কলকাতা পুলিশ। মা ও মেয়েকে কলকাতা পুলিশই গ্রেফতার করে। বর্তমানে সেই মামলা এসেছে মধ্যমগ্রাম থানার হাতে। কিন্তু ফাল্গুনী ও আরতিকে এখনও হেফাজতে নেয়নি পুলিশ।
বারাসত পুলিশ জেলার পদস্থ কর্তারা জানান, ট্রলি ব্যাগে ভরে দেহ পাচারের পরিকল্পনা কী ভাবে করা হল, তা দু’জনকে হেফাজতে নিয়ে জানতে চাওয়া হবে। আপাতত
দমদম কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে রয়েছে ফাল্গুনী ও আরতি। শনিবার সেখানে তাদের শনাক্তকরণ প্যারেডে দাঁড় করানো হয়। পুলিশ সূত্রের খবর, যে ভ্যানে সুমিতার দেহ ভরা ট্রলি ব্যাগ চাপানো হয়েছিল, সেটির চালক, যে ট্যাক্সিতে ওই ট্রলি ব্যাগ চাপিয়ে কুমোরটুলি ঘাটে আনা হয়েছিল, সেটির চালক এবং যাঁরা
কুমোরটুলি ঘাটে মা-মেয়েকে দেখেছিলেন, তেমন আট জনকে দিয়ে শনাক্তকরণ প্যারেড সম্পন্ন করে পুলিশ। সকলেই ফাল্গুনী ও আরতিকে শনাক্ত করেন বলে খবর।
বারাসত পুলিশ জেলা জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত দুই অভিযুক্তকে জেরা করতে পারেনি মধ্যমগ্রাম থানা। যাবতীয় তথ্য কলকাতা পুলিশের কাছ থেকেই পেয়েছ তারা। সেই সব তথ্য খতিয়ে দেখে তদন্ত শুরু করে দু’-এক দিনের মধ্যেই ফাল্গুনীদের হেফাজতে নিতে চাইছে মধ্যমগ্রাম থানার পুলিশ। সেই সূত্রেই খবর, পুলিশ চাইছে, হেফাজতে নেওয়ার পরেই সেই বঁটি উদ্ধার করতে, যেটি দিয়ে সুমিতার পা কাটা হয়েছিল।
Post a Comment